শাহ সুলতান আহমেদ ॥ নবীগঞ্জে হাই স্কুলে ছাত্রী আসা যাওয়া করতো। পিছু ধরে বখাটে প্রায়ই তাকে উত্যক্ত ও বিরক্ত করতো। অবশেষে তাকে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে ধর্ষন করা হয়। এমনকি অপহরনকারীরা তাকে বিক্রি ও পাচারের কৌশল করলে স্কুল ছাত্রী পিতা-মাতার কাছে এসে বিস্তারিত জানালে তার মা- হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনাল আদালতে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর করতে নবীগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আরজি সুত্রে প্রকাশ, ওই উপজেলার নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হালিতলা গ্রামের মিয়াধন মিয়ার কন্যা নবীগঞ্জ শহরতলীর হিরা মিয়া গার্লস হাই স্কুলের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত ও বিরক্ত করতো হালিতলা গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়ার পুত্র খলিল মিয়া। বিষয়টি খলিলের পিতাকে জানানো হয়। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত ১৫ই মার্চ বিকেল ৪ টায় স্কুল ছাত্রীকে ওই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার নিজ গ্রাম হালিতলা বাজারের নিকটবর্তী স্থানে পৌছলে পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা খলিল ও অন্যান্য লোক মিলে ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দিয়ে অপহরন করে নিয়ে যায়। তাকে ঢাকায় নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষন করে। ১৫ দিন অতিবাহিত হবার পর তাকে অন্যত্র বিক্রয় ও পাচার করার ষড়যন্ত্র করতে চাইলে সে কৌশলে তার বাবার বাড়িতে আসে। তার পিতা-মাতার কাছে বিস্তারিত ঘটনা জানালে গত ১৭ই এপ্রিল তার মা মোছাঃ মমতা বেগম বাদি হয়ে ওই গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়ার পুত্র খলিল মিয়া (২০)আলকাছ উল্লার পুত্র আব্দুল মানিক (৩০) মৃত সজিব উল্লার পুত্র ছাও মিয়াকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনাল আদালত হবিগঞ্জে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর করতে নবীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষনের ঘটনার মামলা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা ও সমালোচনা বিরাজ করছে। সচেতন মহল মনে করেন, সুষ্টু তদন্ত করে প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে স্কুল ছাত্রীকে পরিবার ন্যায় বিচার পাবে।